উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু

এডুএইড ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ এপ্রিল, ২০২১

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে, মাঠ পর্যায় থেকে প্রতারক চক্র কিছু শিক্ষার্থীর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কয়েকটি উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকটি প্রতারক চক্র মায়েদের কাছ থেকে ওটিপি ও পিন নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজেই এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।







ইতোমধ্যে টাকা হারানো শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ইতোমধ্যে ৩-৪ জনকে এ অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া প্রতাবণা বন্ধে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর মায়েদের নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার সিস্টেম বন্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এক লাইভে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন নগদের চিফ অপারেটিং অফিসার আশীষ চক্রবর্তী।  লাইভে যুক্ত হয়ে শিক্ষকরা মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন, সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চিফ অপারেটিং অফিসার।  

তিনি বলেন, সারাদেশের মধ্যে হাতেগোণা কয়েকটি এলকার কিছু শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ শুনেছি। প্রকল্প অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছেও আমরা অভিযোগ করেছি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজেই এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নগদের পক্ষ থেকে কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আসছে বলেও জানান আশীষ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মায়ের কাছ থেকে ওটিপি ও পিন নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করে টাকা অন্য অ্যাকাউন্ট পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা কমবে। তিনি মায়েদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে কেউ ফোন করে পিন ও ওটিপি চাইলে যেন না দেন মায়েরা। সেদিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী

সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ
এডুএইড ৪র্থ তলা ৭৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা ১০০০
ইমেইল : eduaid21@gmail.com

© কপিরাইট এডুএইড ২০২৪।   ওয়েবসাইট নির্মানেঃ Contriver IT

সর্বশেষঃ