কিয়ামত নিয়ে মহানবী (সা.)-র আরেকটি হাদিস মিলে গেল

এডুএইড ডেস্ক

কিয়ামত বলতে বুঝায় পুনরুখান এবং ইয়াওমুল। কিয়ামাহ দ্বারা বুঝায় পুনরুখান দিবস। অনুরূপভাবে মহাপ্রলয় সংঘটিত হওয়াকেও কিয়ামত বলে। পরিভাষায়- জগতের প্রলয়ের জন্য প্রথমবার শিংগায় ফুঁক দেওয়া থেকে আরম্ভ করে হাশর-নশর,হিসাব, জান্নাত ও জাহান্নাম নির্ধারণ হওয়াসহ অনন্তকালের জীবনকে কিয়ামত দিবস বলে।

কিয়ামত দিবস কবে সংঘটিত হবে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। এমনকি শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও কিয়ামত দিবস কবে অনুষ্ঠিত হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ দেখা যাবে সে বিষয়ে বর্ণনা করেছেন মহানবী (সা.)।

ইসলামি ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে ইতোমধ্যেই কিয়ামত দিবস সংঘটনের আগের বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। তবে সম্প্রতি বিশ্ববাসী মহানবী (সা.)-র আরেকটি ভবিষ্যৎবাণী প্রত্যক্ষ করেছে। খবর দ্য কাশ্মীর টুডের।

গত ২৯ জুন ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দিন। এদিন গড়পড়তা একদিনের চেয়ে ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড ছোট ছিল দিন। এর মানে হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দিনের চেয়ে ছোট ছিল দিনটি। তবে এটি একটি ছোট দিন হলেও ঘণ্টার পরিমাণ একই ছিল।

সহিহ বুখারি হাদিস শরিফে এক বর্ণনায় এসেছে মহানবী (সা.) বলেছেন, কেয়ামত (শেষ দিন) ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না (ধর্মীয়) জ্ঞান কেড়ে নেয়া হবে (ধর্ম জানা ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়), খুব ঘন ঘন ভূমিকম্প হবে, সময় দ্রুত চলে যাবে, দুর্দশা দেখা দেবে, খুন বাড়বে এবং অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

গড়পড়তা একদিন ২৪ ঘণ্টায় হয়। সে হিসাবে একদিনে ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পৃথিবীর ঘূর্ণনয়নের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আগের চেয়েও ছোট দিন দেখছে বিশ্ববাসী। এটির সঙ্গে পৃথিবীর কেন্দ্রের একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। কেননা সেখানে গলিত লোহা ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে। কেন্দ্র শক্ত হলে পৃথিবী তার স্বাভাবিক আকার হারাবে এবং ঘূর্ণন গতি বৃদ্ধি পাবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মদ আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী

সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ
এডুএইড ৪র্থ তলা ৭৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা ১০০০
ইমেইল : eduaid21@gmail.com

© কপিরাইট এডুএইড ২০২৪।   ওয়েবসাইট নির্মানেঃ Contriver IT

সর্বশেষঃ