মানুষ আত্মহত্যা কেন করে? যখন কোন আত্মহত্যার খবর শুনি, তখন ভাবি কেন আত্মহত্যা করলো! এর কি কোন বিকল্প পথ নেই! কিন্ত আজ বুঝলাম, কেন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সন্ধ্যার আজান দিবে দিবে, চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসছে, বাসার ছাদে রেলিংএর উপর দাঁড়ালাম, চোখ বন্ধ করে (অশ্রু শিক্ত নয়ন) মুখে বিড় বিড় করে বলে যাচ্ছি শেষ বিরহের কথা গুলো। হঠাৎ পিছন থেকে ঝাপটে ধরে ছুড়ে ফেলে দিলো ছাদের মেঝের উপর। ওরা শান্তিতে মরতেও দিবেনা আমায়।
সত্যিই ডিপ্রেশন মানুষকে বাঁচতে দেয় না। কুঁড়ে কুঁড়ে খায় ভিতরটাকে। সুন্দর পৃথিবী ছাড়তে ইচ্ছে করেনা। তবুও ছেড়ে যেতে হয়।
হাতটা ধরে টেনে নিয়ে আসলো বাসায়। তখনও দুচোখে অশ্রু ঝরছে। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অজু করলাম, তাদের সাথে জামাতে নামাজ পড়লাম। সবাই ঘিরে বসলো আমাকে। জিজ্ঞেস করছে কি হলো ভাই! কেন হঠাৎ এই কাজটি করতে গেলেন?
অশ্রু সিক্ত নয়নে তাকিয়ে আছি আমার টেবিলের উপর রাখা পবিত্র আল কোরআনের দিকে। হাতে নিলাম আল কোরআন, বুকের সাথে চেপে ধরতেই মনে হয় কি যেন এক প্রশান্তি! চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। মুখ থেকে বিড়বিড় করে মনের অজান্তেই উচ্চারিত হচ্ছে, সূরা ইনশিরাহ-এর ৫-৬ নং আয়াত।
“ফাইন্নামা’য়াল উচরি ইউসরা, ইন্নামা’য়াল উচরি ইউচরা”
যার অর্থ সুতরাং কষ্টের সাথেই রয়েছে সুখ, নিশ্চই কষ্টের সাথে রয়েছে সুখ।”
উচ্চারিত হতে থাকলো তার পরের আয়াত গুলোও। তারপর চোখ মুছে কিচ্ছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করলাম। এখন খুব ভাল লাগছে। অন্তত আত্মহত্যার ভূতটা মাথা থেকে পালালো।
ডিপ্রেশন! চরম ডিপ্রেশন! যদি থাকে তোমার কাছে আল কোরআন। ইহাই তোমার সকল সমস্যার সমাধান।
লেখকঃ তাহছিন আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী।
শিক্ষার্থীঃ কবি নজরল সরকারি কলেজ, ঢাকা।