সুদানে উনামিড শান্তিরক্ষা মিশনে বঙ্গমাতা টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছয়টি দেশের প্রতিযোগী নিয়ে আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট ৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়।
টুর্নামেন্টের সফল আয়োজক বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট তাদের বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পের শেখ রাসেল স্পোর্টস কক্ষে ১০দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করে। যা বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনের ইতিহাসে প্রথম বার।
‘বঙ্গমাতা টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট’ বাংলাদেশ ছাড়াও মঙ্গোলিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, নেপাল ও কাজাকিস্তানের ১২জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এই টুর্নামেন্টে বিজয়ী হন (চ্যাম্পিয়ন) মঙ্গোলিয়ান খেলোয়াড় মেজর এনখারান নিয়ামদেলেগ এবং রানার্স আপ হন একই দেশের খেলোয়াড় মেজর দাবাজাব নিয়ামদরজ।
উনামিড মিশনের পুলিশ কমিশনার ড. সুলতান আজম তিমুরি প্রধান অতিথি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপকে ট্রফি এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সদস্যকে মুজিববর্ষের লোগ সংবলিত মেডেল পরিয়ে দেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, কভিড মহামারির মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়জন করা খুবই সাহসী কাজের পরিচয়, যার ফলে এল ফাশের ক্যাম্পে সবার মাঝে উদ্দীপনা বিরাজ করেছে। পুলিশ প্রধান সমাপনী অনুষ্ঠানে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য ব্যানএফপিইউ এর কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমকে ধন্যবাদ জানান। ৬ জাতির এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকাকে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্যানএফপিইউ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, শান্তিরক্ষা মিশন এরিয়াতে এই প্রথম জাতির পিতার সহধর্মিণীর নামে টুর্নামেন্ট আয়োজন। মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতাকে যিনি সব সময় সাহস দিয়ে পাশে ছিলেন টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে তাকে আমরা বিশ্বের বুকে পরিচিত করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।
ডেপুটি কমান্ডার নাজলি সেলিনা ফেরদৌসি বলেন, ইতোমধ্যে ব্যানএফপিইউ কমান্ডারের নের্তৃত্বে আমরা বিদেশের মাটিতে দুইবার মিনি ম্যারাথনসহ জাতির পিতাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করে দিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, কমিশানারের স্টাফ অফিসার কর্নেল মিশেল রুহি, অংশগ্রহণকারী দেশের খেলোয়াড়রা ও ব্যানএফপিইউ-এর সকল কমান্ড স্টাফরা।